আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ

 আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্য আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয় আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ এ সম্পর্কে বিস্তারিত। আমার আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ বট গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ,লাল আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ,লবঙ্গ দিয়ে 2 সেকেন্ডে বশীকরণ,কালো ধুতরার শিকড় দিয়ে বশীকরণ,পুরুষের সৌন্দর্য চর্চা সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ

আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবো আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ। সাধারণত বশীকরণ করা হয় কাউকে বাধ্য করতে। এক্ষেত্রে নারী বশীকরণ বেশি লক্ষণীয়। সাধারণত নারীদের বশীকরণ বেশি করা হয় থাকে। বশীকরণ বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের শিকড় এবং ফুলের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে তার মধ্যে আপাং গাছের শিকড় অন্যতম। বেশিরভাগ সময়ে প্রেমিকা স্ত্রী এবং অবাধ্য আত্মীয়-স্বজনকে এই গাছ দ্বারা বাধ্য করা সম্ভব। এই গাছ গভীর জঙ্গলে পাওয়া যায় এবং এই গাছের উপকারিতা আছে।

এই গাছ ব্যবহার এর নিয়ম আছে তেমনি গাছটি তোলার নিয়ম আছে। এই গাছটির বেশ কিছু নাম রয়েছে সেগুলো আঞ্চলিক ভাবে পরিচিত কিন্তু আসল নাম আপাং গাছ অনেকে অনেক ভাবে এই গাছটির নামকরণ করে থাকেন এই গাছটি দুই রকমের হয়ে থাকে এক লাল আরেকটি সবুজ। এই গাছটি দারা পুরুষ নারী উভয়কেই বাধ্য করা সম্ভব।

আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ করা হয় সপ্তাহে দুদিন অর্থাৎ শনিবার এবং মঙ্গলবার এ দুদিনে কাজ ভালো হয়। এই গাছটি তোলার আগের দিন অর্থাৎ আপনি যদি শনিবারে বশীকরণ করেন তাহলে শুক্রবারে গাছ থেকে নিমন্ত্রণ করতে হবে একইভাবে আপনি যদি মঙ্গলবারে বশীকরণ করেন তাহলে সোমবারে গাছ থেকে নিমন্ত্রণ করতে হবে নিবন্ধন করার পদ্ধতি হলো গাছটির গোরাতে ধুপকাঠি জ্বালাতে হবে এবং কিছু পানি দিতে হবে সঙ্গে নিয়ে যাবেন পান সুপারি।

গাছটির সামনে গিয়ে বলবেন মনের ইচ্ছা এভাবে বলবেন হে বৃক্ষ তোমাকে যে কাজের জন্য আগামীকাল নিয়ে যাওয়া হবে সেই কাজের জন্য উপযুক্ত হয়ে ধরা দিবেন। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার অথবা মঙ্গলবারে সূর্য ওঠার আগে অথবা সূর্য ডোবার পরে এই দুই সময়ে এই গাছটি তুলতে পারবেন গাছটির তোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিমন্ত্রণ গাছটির কাছে যেতে হবে এবং পূর্ব দিকে ঘুরে অবশ্যই পূর্ব দিকে ঘুরে এক নিঃশ্বাসের সাথে সেই গাছটি তুলতে হবে। অবশ্যই শিকড় সহ তুলতে হবে শিকড় ছিড়ে গেলে গাছটির কাজ হবে না।

বাড়িতে গাছটি নিয়ে আসার পরে সুন্দর করে পানি দিয়ে ধুয়ে একটি তাবিজ নিবেন অবশ্যই তাবিজটি তামার হতে হবে। আপাং গাছের এক ইঞ্চি শিকড় সুন্দর করে কেটে তাবিজ পুড়ে কোমরে ধারণ করবেন। বন্ধুরা এই গাছটি তোলার সময় আরেকটি কাজ করতে হবে যখন এই গাছটি তুলবেন তখন মনে মনে যাকে বশীকরণ করবেন তার নাম পড়বেন এবং বলবেন যে কাজের জন্য আপনাকে তোলা হচ্ছে সেই কাজ সহযোগিতা করুন।

এই কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি তাবিজ এর সাহায্য নিতে হবে। একটি আপনি নিজে কোমরে বাধবেন অপরটি আপান গাছের শিকড় এক ইঞ্চি কেটে ওই তাবিজটিতেও পুড়ে আপনি যাকে বশীকরণ করতে যাচ্ছেন সেই স্ত্রী বা প্রেমিকা হোক তার বাড়ির রাস্তায় পুঁতে রাখবেন। তাবিজ-পুতার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটির বেশি গভীরে না হয় সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ ইঞ্চি গভীরে পুঁতে রাখবেন।

বট গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ

আমরা আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারব বট গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বশীকরণ সাধারণত একজন আরেকজনকে বশ করা কে বোঝায় অর্থাৎ আপনার প্রতি অন্যজনকে বাধ্য করা। বন্ধুরা প্রচলিত আছে বট গাছের অনেক গুণ তেমনি এই গাছের শিকড়েও অনেক উপকারী। সাধারণত যে সকল বন্ধুরা চাকরির প্রত্যাশী চাকরি পাচ্ছেন না তারা এই বশীকরণ করতে পারেন এতে চাকরি পেয়ে যাবেন। বট গাছের শিকড় সংগ্রহের কিছু দিন নিয়ম এবং সময় রয়েছে।সাধারণত সকল বশীকরণের উপাদান সংগ্রহের মতই শনিবার এবং মঙ্গলবার বট গাছের শিকড় সংগ্রহ করতে হবে।

বন্ধুরা যখন বট গাছের শিকড় সংগ্রহ করতে যাবেন অবশ্যই আপনি গোসল করে পবিত্র হয়ে দুপুরবেলায় গাছের নিচে যাবেন এবং তাজা দেখে একটি শিকড় কেটে নিবেন। কারণ বট গাছের শিকড় যতদিন তাজা অর্থাৎ রস থাকবে ততদিন আপনার এই বশীকরণ চলমান অবস্থায় থাকবে। তাই চেষ্টা করবেন তা যা দেখে শিকড় কর্তন করার। তারপরে শিকড় বাড়িতে এনে পরিষ্কার করে সাদা কাপড় অবশ্যই সাদা কাপড়ের সুতি দিয়ে এক থেকে দেড় ইঞ্চি শিকরটি সম্পূর্ণ বেঁধে নিবেন এবং আপনার হাতের যে কোন অংশে বেঁধে রাখবেন এবং মনে মনে আপনার কাঙ্খিত চাহিদাটি স্মরণ করবেন এইভাবে কয়েকদিন করতে থাকেন এক সময় এর ফল পেয়ে যাবেন।

লাল আপাং গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ

বন্ধুরা আমরা এই আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারব লাল আপান গাছের শিকড় দিয়ে বশীকরণ। এই গাছটি অনেক উপকারী যদি আপনারা কবিরাজের নিয়ম অনুসরণ করেন। সাধারণত এই গাছটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ কবিরাজরা এই গাছের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের রোগ নিরাময় করেন। আমরা আগে জেনেছি আপাং গাছ দুই রকমের একটি লাল রঙের আরেকটি সবুজ আমরা এই অংশে লাল রঙের গাছ সম্পর্কে আলোচনা করব। এই গাছটি একটি পরীক্ষিত গাছ তাই বলা যায় এর উপকারিতা অসীম। এই গাছটি মূলত সহবাসে সময় বৃদ্ধি করনের একটি গাছ। সহবাসের সময় এই গাছটি ছেলেরা কোমরে বেঁধে রাখলে সহবাস দীর্ঘক্ষণ করা যায়।

আঞ্চলিকভাবে এই গাছের নাম অনেক রকমের হয়ে থাকে তার মধ্যে চিরচিরা নামে বেশ পরিচিত। এই গাছটি নিয়ম না মেনে বশীকরণ করলে সঠিক কার্যকারিতা পাবেন না। এই গাছটি বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়। লাল আপাং গাছের শিকড় শনিবার অথবা মঙ্গলবারে সূর্য ওঠার আগে পূর্ব দিকে মুখ ঘুরে এক নিঃশ্বাসে তুলতে হবে। এই গাছটির শিকড় এক ইঞ্চি কেটে লাল সুতার মাধ্যমে বেঁধে কোমরে বাঁধবেন। এইভাবে বশীকরণ করলে ফলাফল অবশ্যই পাবেন।

লবঙ্গ দিয়ে 2 সেকেন্ডে বশীকরণ

আমরা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবো লবঙ্গ দিয়ে বশীকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সাধারণত বশীকরণের নিয়ম হল শনিবার এবং মঙ্গলবার এই দুদিনে বশীকরণ করতে হয়। লবঙ্গ দিয়ে সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকারা বশীকরণ করে থাকে এক্ষেত্রে দুটি লবঙ্গ প্রয়োজন হবে এবং সাথে কালো সুতা প্রয়োজন হবে। লবঙ্গ দুটি কালো সুতার দিয়ে গিট দিয়ে বাদতে হবে। বেঁধে হাতের কোন অংশে পড়তে হবে। তবে হাতে বাধার ক্ষেত্রে ছোট নিয়ম রয়েছে।


যদি এই বশীকরণ মেয়েরা করে থাকে তাহলে বাম হাতে বাঁধতে হবে আর যদি ছেলেরা করে থাকে তাহলে ডান হাতে বাধতে হবে। এছাড়াও লবঙ্গর অনেকগুলো গুণ রয়েছে যেমন দাঁতের মাড়ি শক্ত করে এবং সর্দি লাগলে লবঙ্গ খেলে সর্দি কাশি ভালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চায়ের সাথে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে চাইলে সাদা কাগজে যার নামে বশীকরণ করবেন তার নাম লিখে দুইটি লবঙ্গ তাবিজের মধ্যে রেখে হাতে পড়তে পারেন দুই ভাবেই ফলাফল পাবেন।

কালো ধুতরার শিকড় দিয়ে বশীকরণ

এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারবো কালো ধুতরা শিকড় দিয়ে বসিয়ে করনের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। কালো ধোতারার গাছ সেনা সহজ উপায় হল এর গাছের অনেক বড় ফুল ফুটে সাধারণত মাইক আকৃতির ভুল হয়ে থাকে। এই গাছটি ব্যবহারের ফলে অনেকের অনেক উপকার হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো কালো জাদুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া। এই গাছটি মূলত রাস্তার ধারে পাওয়া যায় এটি অনেক মূল্যবান একটি গাছ কথিত আছে এই গাছের শিকড় ব্যবহারের ফলে আয় রোজগার বৃদ্ধি পায় ফলে আপনার অর্থের কোনো অভাব হবে না। এছাড়াও এই গাছটি ব্যবহারের ফলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই গাছটির শিকড় সকল বশীকরণের গাছের শিকড়ের মতো একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যবহার করতে পারেন শনিবার অথবা মঙ্গলবার এই গাছটির শেখর সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করছি বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন বশীকরণ পদ্ধতি এবং আরও জানতে পেরেছেন কোন গাছের শিকড় দিয়ে কোন কাজ বেশি ভাল হয় এবং এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সাধারণত এই সকল উদ্ভিদগুলো ভেষজ উদ্ভিদে হিসেবে পরিচিত অনেক কবিরাজরা এই সকল উদ্ভিদের মাধ্যমে বড় বড় রোগ নিরাময় করতে পারদর্শী হয়ে থাকেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url