ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম-ফলিক এসিড এর কাজ কি
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটিকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন যে ফলিক এসিডের কাজ কি ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং ফলিক এসিড এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ সকল প্রকার তথ্যসমূহ আজকের এই একটি পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকে এই পোস্টে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন । আপনি যদি আজকের এই পোস্টে সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ফলিক এসিড নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকবে না । আপনি ফলিক এসিড সম্পর্কে সকল তথ্য একটিমাত্র পোস্টটি জানতে পারবেন ।
- ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
- ফলিক এসিড এর কাজ কি
- ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়
- ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন । ফলিক এসিড বর্তমান বাজারে ফলিসন নামে পাওয়া যায় । এছাড়াও এখনই ফলিক অ্যাসিড বর্তমান সিরাপ আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে । ফলিক এসিড মুলত ভিটামিন বি ৯ যখন কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় তখন তাকে ফলিক এসিড বলা হয়ে থাকে । ফলিক এসিড ট্যাবলেট টি খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো ।
ফলিক এসিড টা প্রাথমিকভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন পাঁচ মিলিগ্রাম অর্থাৎ একটি করে ট্যাবলেট ৪ মাসের জন্য খাবেন । এবং অনেকের ক্ষেত্রে তার রোগের উপর নির্ভর করে প্রতি সাত দিনে একটি করে ফলিক এসিড খেতে হবে । এছাড়া যাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে যাদের শরীরের রক্ত প্রয়োজন হয় তারা প্রতিদিন ৫ মিলিগ্রাম করে অর্থাৎ একটি করে ট্যাবলেট আপনারা খেতে পারেন এর ফলে আপনার শরীরের রক্ত অতি দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং আপনি ধারাবাহিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠবেন ।
এছাড়া যাদের বয়স এক বছরে কম তারা খুবই অল্প পরিমাণ অর্থাৎ ৫০০ মাইক্রোলন করে খেতে পারবেন । এছাড়া যাদের বয়স এক বছরে বেশি তারা প্রাপ্তবয়স্কদের ডোজ অনুযায়ী খেতে পারবেন অর্থাৎ প্রতিদিন পাঁচ মিলিগ্রাম করে মানে একটি করে ট্যাবলেট আপনারা খেতে পারবেন । তবে এই ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কেননা আপনার ডোজ কতটুকু লাগবে আপনার রোগের উপর নির্ভর করে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার আপনাকে ফলিক এসিড খেতে বলবেন ।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ । আজকের এই পোস্টে আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ফলিক এসিড খাওয়া নিয়ে আর কোন প্রশ্ন আপনার থাকার কথা না ।
ফলিক এসিড এর কাজ কি
ফলিক এসিড এর কাজ কি তা হলো ফলিক এসিড মুলত ডি এন এ গঠন বা সিন্থেসাইজেশন এবং আমাদের কোষ বিভাজন এ ছাড়া মানুষের ডি এন এ নতুন করে গঠন করতে ফলিক এসিড আধিক কাজ করে থাকে । এ ছাড়া গর্ভবস্থায় ফলিক এসিড এর গুরুপ্ত অনেক বেশি কেনো না গর্ভবস্থায় নবজাতক এর ফলিক এসিড আধিক গুরুপ্তপুর্ন । বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের রক্তস্বল্পতা দূর করতে করতে এবং নতুন করে রক্ত তৈরি করতে ফলিক এসিড আধিক গুরুপ্তপুর্ন ।
ফলিক এসিড মুলত ভিটামিন বি-৯ এর দ্রবণীয় রুপ । তবে এই এসিড আমাদের শরিলে প্রাকতিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে । এবং ফলিক এসিড আমাদের শরিলের জন্য অধিক গুরুপ্তপুর্ন আমাদের শরিলে নতুন করে ডি এন গঠন এবং কোষ গঠন এর জন্য ফলিক এসিড অধিক কাজ করে থাকে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফলিক এসিড এর কাজ কি এবং আরো বিস্তারিত জানতে নিচে ফলিক এসিড এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো । আপনি আরো বিস্তারিত জানতে সেটা পড়তে পারেন ।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে আপনি জানতে চাইলে আপনি এই পোস্ট টি সম্পুর্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন । আজকে আমি আপনাদের সাথে ফলিক এসিড সম্পর্কে সকল বিষয় এ আলোচনা করা হবে ।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম । তবে প্রতেক টা ঔষুধের কম বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে থাকে তাই যে কোনো ঔষুধ গ্রহন এর পুর্বে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ সেবন করা উচিত । কেননা অতিরিক্ত যে কোনো কিছু আমাদের শরিলের জন্য ক্ষতিকর । ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হলো ঃ
জ্বর হতে পারে এবং শরিল দুর্বল লাগতে পারে এ ছাড়া সাধারণ অস্বস্তি দেখা দিতে পারে । এ ছাড়া যাদের চুলকানি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চুলকানির বা র্যাশ দেখা দিতে পারে । শ্বাসপ্রশ্বাস এর স্যামসা দেখা দিতে পারে ঘুমের স্যামসা হতে পারে এ ছাড়া পেটে অস্বস্তি এবং ব্যাথা দেখা দিতে পারে ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফলিক এসিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ । আপনার যদি স্যামসা গুলো অতিরিক্ত বেশি মনে হয় তাহলে অব্যশয় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন । তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম অনেক কম সংখ্যক মানুষের মর্ধে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে
ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়
ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয় তা হলো ঃ মুলট এই ট্যাবলেট টি মুলত সন্তান নেওয়ার চেষ্টা যখন থেকে করা হয় তখন থেকে এই ট্যাবলেট টি খেতে হয় । এ ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়া পরবর্তী ৩ মাস পযন্ত এই ফলিক এসিড খেতে পারবেন । এ ছাড়া যাদের হরমোনাল স্যামসা আছে শরিলে কোষ গঠন এ ফলিক এসিড আধিক গুরুপুর্ন তাই আপনি এই স্যামসা জনিত রোগ থাকলে আপনি তখন ফলিক এসিড খেতে পারবেন ।
এ ছাড়া যাদের রক্তক্ষরন হয় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তখন থেকে ফলিক এসিড খেতে হয় । কেনো না ফলিক নতুন করে রক্ত তৈরিতে অধিক সহায়তা করে থাকে । তবে আপনি ফলিক এসিড খাওয়ার পুর্বে অব্যশয় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত সেই সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে । ফলিক এসিড এর দাম বাজারে স্থির নয় সব সময় এটা কম বেশি হতে পারে । এ ছাড়া জায়গা ভেদে এই ঔষুধ এর ভিন্ন রকম হয়ে থাকে । তবে সাধানত ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত হলো প্রতি ১ পিচ ট্যাবলেট এর দাম ২.৫০ টাকা এবং এটা ১ পেকেট নিতে চাইলে আপনার দাম পড়বে ২২ টাকা থেকে ২৩ টাকা পযন্ত । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমুহ ।
শেষ কথাঃ ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম-ফলিক এসিড এর কাজ কি
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম । এ ছাড়া ফলিক এসিড এর কাজ কি ফলিক এসিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোনগুলো ফলিক এসিড এর দাম কাদের জন্য ফলিক এসিড প্রযয্য সেই সব বিষয় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম । আশা করি আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের বুঝতে কোনো স্যামসা হয় নি । আজকের এই পোস্ট টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অব্যশয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url